| |
               

মূল পাতা জাতীয় ৭ মার্চের ভাষণ সকল স্বাধীনতাকামীর অনুপ্রেরণা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী 


৭ মার্চের ভাষণ সকল স্বাধীনতাকামীর অনুপ্রেরণা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী 


রহমত ডেস্ক     07 March, 2022     04:36 PM    


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের সারমর্ম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে তার মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। এই ভাষণ ইতোমধ্যে জাতিসংঘের ছয়টি সরকারি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এটি আরো বহুভাষায় অনূদিত হবে এবং আমরা কাজটি করে যাচ্ছি। এই ভাষণকে কেবল বাঙালির স্বাধীনতার শক্তি হিসেবেই নয়, বরং বিশ্বের স্বাধীনতাকামী সকল মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্মরণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।  এ সময়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। দ্য মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার বিশ্বের তাৎপর্যময় বিভিন্ন দেশের নথি সংরক্ষণ করে যার প্রামাণ্য ঐতিহ্য রয়েছে। এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ গত আড়াই হাজার বছরের যুদ্ধকালীন সময়ের সবচেয়ে উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রেরণামূলক ভাষণ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। সরকারি সূত্র মতে, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এ পর্যন্ত মোট ১৭টি বিদেশী ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে মহাকাব্যিক এই ভাষণ বিশ্বব্যাপী জনগণের কাছে চলে যাচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহসিক ৭ ই মার্চের ভাষণের মর্মবাণী বিশ্বের সকল মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশের ৮১টি মিশনের সকলকে ওই সব দেশে দিবসটি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও মন্ত্রণালয় আরো অনেক ব্যক্তি এবং প্রবাসী বাংলাদেশীকে এ বিষয়ে সম্পৃক্ত করেছে।  বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের পরোক্ষ স্বাধীনতার ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত বঙ্গবন্ধুর এই গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের স্বীকৃতি দেয়ায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা খুশি যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ জন্যে কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণটিই ইউনেস্কোর রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত হওয়া একমাত্র মৌখিক ভাষণ।  ১৯৭১ সালের ওই দিনে বঙ্গবন্ধু যেখানে ভাষণ দিয়েছিলেন সেই রেসকোর্স ময়দানে নিজের উপস্থিতির কথা স্মরণ করেন, এই সেই দিন যেদিন জনগণ বুঝতে পেরেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।